নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর একটি রির্সোটে গতকাল শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সময় তাঁকে এক নারীসহ আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সময় পর কয়েক হাজার হেফাজতকর্মী রয়েল নামের ওই রির্সোটে হামলা চালিয়ে মাওলানা মামুনুলকে মুক্ত করে নিয়ে যান। এ সময় হেফাজতকর্মীরা রির্সোট ভাঙচুরও করেন।
এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া গতকাল সন্ধ্য থেকেই তোলপাড়। নানা অভিমতে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফরম। মামুনুল হক ওই নারীকে নিজের বিয়ে করা দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেও বিষয়টির পক্ষে বিপক্ষে বিপুল জন্মত তৈরি হয়। এক পক্ষ বলছে মামুনুলের বিয়ের পক্ষে আরেক পক্ষ মানতে নারাজ।
এদিকে রবিবার রাতে মামুনুল হকের দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্না ও ওই নারীর ছেলের কথোপকথনের একটি অডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
ফোনালাপটি জান্নাত আরা ঝর্নার সঙ্গে তার ছেলে আব্দুর রহমানের। ছেলে বয়স ১৭ বছর। নয় বছর বয়সে ঝর্নার সঙ্গে হাফেজ শহীদুল ইসলামের বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে আড়াই বছর আগে তাদের ডির্ভোস হয়। শহীদুল্লাহ ও ঝর্না দম্পতির আব্দুর রহমান ও তামীম নামে দুই ছেলে আছে।
ফোনালাপের একপর্যায়ে তাদের তামীমের ব্যাপারে জানতে চাইরে আব্দুর রহমান জানায়, সে তার সঙ্গে দেখা করতে যাবে। এরপর ঝর্না বলেন, আমার সঙ্গে আপাতত দেখা করতে আইসো না। দেখা করতে আরও লেইট হবে।
তখন আব্দুর রহমান বলে, সেই বোঝাপড়া আমরা দু’ভাই করে আসবোনে! কোন সময় দেখা করতে হয় কোন সময় কি করতে হয়! এরপর ঝর্না বলে ওঠেন, এখন ঝামেলা দিও না। বহুত ঝামেলার মধ্যে আছি। আর ঝামেলা করিও না।
আব্দুর রহমান বলে, তার জন্য দরদ দেখিও না। সে কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে মাইর খাবে। খুলনা থেকে আসলে। সে কিন্তু জানে না আমরা দুই ভাই। এই কথা শুনার পর ঝর্না বলেন, শুন আজকে আমি মৃত্যুর হাত থেকে বের হলাম। সত্য গোপন থাকে না। আম্মু খারাপ করছে, আরেকজন খারাপ করছে বুঝলাম। কিন্তু তুমি তো ভালো করবা। এই সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।